রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
ওয়েবসাইটের উন্নয়ন কাজ চলছে... অনুগ্রহ পূর্বক সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।
ব্রেকিং নিউজ :
বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন মাওলানা নুরুল আমীন টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এক দশক প্রেমের পর বিয়ে করলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবার ভিসা ছাড়াই ৪২ দেশে যেতে পারবে বাংলাদেশিরা পীরগঞ্জের শানেরহাটে স্পীকারের সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জাতীয় জুডোয় চ‌্যা‌ম্পিয়ন পীরগঞ্জের কালামকে সম্মাননা দিল ইউ‌পি চেয়ারম‌্যান আগামী কাল মঙ্গলবার ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সার্ভিস উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সমাধান : রাশিয়া যৌতুক মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক গ্রেফতার আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলের চেষ্টা রহিম বাদশা পীরগঞ্জে বিরোধপৃর্ণ জমির ধান কেটে নিয়ে যাওয়ায় অভিযোগ সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার : রাষ্ট্রপতি হাসপাতালে ইমরান খান ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময় যৌবনকাল হজযাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিল বিমান ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, চার ট্রেনের যাত্রা বাতিল কেন এতো অস্ত্র আমদানি করছে মিয়ানমার? নির্বাচন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না : জাপানের রাষ্ট্রদূত পীরগঞ্জে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে সাবাড় প্রকল্পের জটিলতা নিরসনে অংশীদারদের সমন্বয় জরুরি অবাধ ও সুষ্ঠভাবে আগামী নির্বাচন করতে চায় সরকার, তাপপ্রবাহের বিস্তার হতে পারে ইংল্যান্ডে প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই আইরিশদের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা বাংলাদেশে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সম্মত হাঙ্গেরি : বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের ৮ বিভাগীয় কেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত উপজেলা প্রতিনিধি বিপ্লব এর জন্মদিন পালন ছুটির দিনেও অফিস খোলা রাখার নির্দেশ ইসির বাংলাদেশ সরকার টিসিবি’র জন্য সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কিনছে শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভীত রচনা করতে হবে– স্পীকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের

তালেবান কারা, আফগানিস্তানে কীভাবে উত্থান ঘটেছিল ♦ ২০ বছর ধরে তালেবানের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করল আমেরিকা ♦ তারাই আবার ক্ষমতায় ফিরে এলো

অনলাইন ডেস্কঃ

২০ বছর আগে আফগানিস্তানে যখন মার্কিন সেনাবাহিনী ঢুকে তখন ক্ষমতায় ছিল তালেবান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তালেবান নেতা মোল্লা ওমর। সেই যুদ্ধের ফয়সালা ছাড়াই ইতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসে মার্কিন সৈন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই রক্তপাত ছাড়াই ক্ষমতা নিল তালেবান। গতকাল রাজধানী কাবুল দখল করেছে তালেবান। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি গতকালই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন।

তালেবান আদতে কারা : তালেবান আদতে পশতু শব্দ। পশতু ভাষায় যার অর্থ ছাত্র। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে উত্তর পাকিস্তানে তালেবান আন্দোলনের জন্ম হয়। এই আন্দোলনে মূলত পশতুন অর্থাৎ পশতুভাষীদের প্রাধান্য। ধারণা করা হয়, মাদরাসাগুলোতে প্রথম এরা সংগঠিত হয়। এই মাদরাসাগুলো পরিচালিত হতো সৌদি অর্থে এবং সেখানে খুবই কট্টর সুন্নি মতাদর্শের ইসলামই প্রচার করা হতো।

পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান এই দুই দেশের সীমান্তের দুই দিকেই আছে বিস্তীর্ণ পশতুন অধ্যুষিত অঞ্চল। ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েতদের প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিলেন তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর, যিনি মুজাহিদীন কমান্ডার হন পরে। ১৯৯৬ সালে কাবুল ও কান্দাহার দখল করে তালেবানরা। এরপর তারা প্রেসিডেন্ট বুরহানউদ্দিন রাব্বানির সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠা করে।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে মৌলবাদী ইসলামিক শক্তি হিসেবে শাসন করেছিল তালেবান। আফগানিস্তানকে নিজেদের কবজায় আনার পরই সে দেশে কঠোর ইসলামিক শাসন জারি করে তালেবানরা। অপরাধীদের প্রকাশ্যে হত্যা করার মতো কঠোর শাসন শুরু করে তালেবানরা। পুরুষদের দাড়ি রাখা, মহিলাদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। মেয়েদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে তারা। টেলিভিশন, সংগীত, সিনেমাও নিষিদ্ধ করে তারা। এরই প্রেক্ষাপটে তালেবানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে।

তালেবানদের একাধিক পদক্ষেপে নিন্দার ঝড় ওঠে আন্তর্জাতিক মহলে।২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন মুল্লুকে জঙ্গি হামলার ঘটনার মোস্ট ওয়ান্টেড ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল তারা। লাদেনকে হাতে পেতে আফগানিস্তানে আক্রমণ চালায় আমেরিকা। এরপর ২০ বছর আফগানিস্তানে শেকড় গাড়ে আমেরিকা। কিন্তু তালেবানমুক্ত করতে পারল না আফগানিস্তানে। এর মধ্যে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

পাকিস্তানের ভূমিকা : পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারাই তালেবানের নেপথ্য কারিগর। কিন্তু এতে কোনো সন্দেহ নেই, শুরুর দিকে যে আফগানরা তালেবান আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, তারা সবাই পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদরাসায় পড়াশোনা করেছিলেন। যদিও পাকিস্তান সবসময় অস্বীকার করেছে এতে তাদের কোনো হাত নেই। তবে পাকিস্তান ছিল সেই তিনটি দেশের একটি, যারা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবানকে অন্য যে দুটি দেশ স্বীকৃতি দেয় তারা ছিল সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর পাকিস্তান তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদও করেছিল সবার শেষে।

আবার প্রকাশ্য কর্মকান্ডে তালেবান : ২০১৩ সালে আফগানিস্তানে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা তৈরি হয়, যখন তালেবান কাতারে একটি অফিস খোলার ঘোষণা দেয়। এর আগে তাদের তেমন কার্যক্রম দেখা যায়নি। কিন্তু তারপরও উভয়পক্ষের মধ্যে অবিশ্বাস রয়েই যায় এবং সহিংসতা অব্যাহত থাকে। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তালেবান স্বীকার করে যে তাদের নেতা মোল্লাহ ওমরের মৃত্যুর দুই বছর পর পর্যন্ত এ খবর তারা গোপন রেখেছিল। কল্পনার চেয়ে তালেবানের গতি দ্রুত :  গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছিল, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ছয় মাসের মধ্যে তালেবান রাজধানী শহর কাবুল দখল করবে। কিন্তু এখন তারা ভিন্ন কথা বলছে। কিন্তু গত বুধবার সেই বক্তব্য থেকে সরে এসে মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী বলছে, মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান রাজধানী শহর কাবুল দখল করে নেবে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটল মাত্র চার দিনের মধ্যে।

তালেবানের অবিশ্বাস্য সামরিক সাফল্যের দিকে আফগান সরকার তো বটেই, পুরো বিশ্বই এখন হাঁ হয়ে তাকিয়ে রয়েছে, এটা কীভাবে সম্ভব। এক মাসের মধ্যে গোটা দেশ তালেবানের দখলে। যেখানে আমেরিকান অস্ত্রে সজ্জিত আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা ৩ লাখের মতো। বিমান বাহিনীও রয়েছে তাদের। অন্যদিকে তালেবানে যোদ্ধার সংখ্যা ৬০ থেকে ৮০ হাজারের মতো। কোনো ইউনিফর্ম নেই, সিংহভাগ যোদ্ধার পায়ে জুতা পর্যন্ত নেই। কিন্তু তাদের চাপে তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ছে আফগান বাহিনীর প্রতিরোধ। তালেবানের এই সামরিক সাফল্যে হতচকিত হয়ে পড়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্র।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

© All rights reserved © 2020 Jagrotobangla71.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com